ফতুল্লা সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা আলোচিত ফেরদৌসি আক্তার রেহেনাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় নিজেকে আইনজীবী পরিচয়ে এক নারীর সাথে প্রতারণাসহ ওই নারীকে চড় মারার অভিযোগে রেহেনাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের এপিপি এডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি জানান, বিভিন্ন সময় রেহেনা নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতো। আমরা শুনেছিলাম আজ হাতে নাতে পেয়েছি সে নিজেকে আইনজীবী পরিচয়ে একজন নারীর সাথে প্রতারণা করেছে। ওই নারী প্রতিবাদ করায় চড় মেরেছে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আমিন রনি আদালত পাড়ায় টাউট ও প্রতারবক সরাতে কাজ করে যাচ্ছে। এ খবর জানতে পেরে উানারা এসে সহযোগীতা করায় আজ আর পালাতে পারেনি। পরে লিগ্যাল অ্যাডের জজ স্যার মুক্তা মন্ডল নিজে পুলিশ কল করলে সি এস আই জেলার বড় অফিসার আসাদ সাহের ৫৪ ধারায় এ জেলে পাঠায় দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরআগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর কারণে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলায় অভিযুক্তও তিনি। এছাড়াও রেহেনার অন্যতম সহযোগী বহুমুখী প্রতারণার মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫) সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বের হতে শুরু করে থলের বিড়াল। নিজেকে আলোচনায় আনতে গিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আসামীও হয়েছেন। তাছাড়া রেহেনার বিরুদ্ধে ধর্মগঞ্জের হাবিব নামে এক ব্যক্তিকে নারী দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করারও অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিযেছে ৩১ হাজার ২০০ টাকা ও মোবাইল সেট।